শিহাবুল ইসলাম
কঠোর নির্দেশনা থাকলেও গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনে বন্ধ হয়নি চাঁদা আদায়। শুধু ধরন কিছুটা পাল্টেছে। আগে গণপরিবহনে রাস্তা থেকে সরাসরি চাঁদা আদায় করা হলেও এখন নেওয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের নামে। অন্যদিকে ঢাকায় প্রবেশের সময় বিভিন্ন পয়েন্টে সব ধরনের ট্রাক থেকে বেনামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দিন শেষে সারা দেশে এ চাঁদা আদায়ের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যখন কোনো ট্রাকে পণ্য বোঝাই করা হয়, সেখানেই প্রথমবার ৫০, ৬০ বা ১০০ টাকা চাঁদা দিতে হয় জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদকে। শ্রমিকদের কল্যাণের নাম করে আদায় করা হয় এ অর্থ। তারা চাঁদার বিপরীতে রসিদ দিলেও তাতে টাকার যে অঙ্ক লেখা থাকে আদায় করে তার চেয়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণ। জেলায় চাঁদা দিয়ে ঢাকার নির্ধারিত স্থানে আসার পথে আরও অন্তত তিন-চার জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। ঢাকা থেকে কোনো যাত্রীবাহী বাস দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার সময়ও তিন থেকে চার জায়গায় চাঁদা দিতে হয়।বিস্তারিত