মোস্তাফিজ মিঠু
ভারতের জনপ্রিয় চ্যানেল ‘জি বাংলা’র সম্প্রচার শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। চ্যানেলটির কর্তৃপক্ষ থেকে ‘ক্লিন ফিড’ পাওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে সম্প্রচার শুরু করেছেন বাংলাদেশের পরিবেশকরা। বাকি চ্যানেলগুলোও একে একে প্রচার হবে বলেও জানান কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ। তবে আগের মতো সব চ্যানেল চালানো সম্ভব হবে না।
এ প্রসঙ্গে আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘ঢাকায় ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক টেলিভিশনে জি বাংলার অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়েছে। জি বাংলা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিবেশকদের ক্লিন ফিড সরবরাহ করছে, এরপর দেশে তাদের সম্প্রচার হচ্ছে। আমরা দেশ থেকে বিদেশি চ্যানেলগুলোকে অনেক চাপ প্রয়োগ করে বলেছি, ক্লিন ফিড ছাড়া অনুষ্ঠান চালাতে পারব না। আসলে তাদেরও করার কিছু নেই। ক্লিন ফিড সম্প্রচার এতটা সহজ নয়। তাদেরও পরিপূর্ণ প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নেই। তবে কালারস গ্রুপ শিগগিরই ক্লিন ফিড দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।’
ক্লিন ফিডের মাধ্যমে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর কোনো বিজ্ঞাপন বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পারবে না। এমন শর্তেই জি বাংলার সম্প্রচার শুরু হলেও প্রথমদিন সেখানে একটি প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আর এ নিয়ে সৃষ্টি হয় সংশয়। এ বিষয়ে কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আরও বলেন, ‘ক্লিন ফিড সম্প্রচার সহজ নয়। সেটি আগেও বলেছি। কারণ এর কোনো নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই। ভারত থেকে ক্লিন ফিড করে পাঠালে সেটি আমরা প্রচার করব। আর সেখানে বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় বাংলাদেশের দর্শকরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রমো দেখতে পাবেন। প্রথম দিন জি বাংলায় বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। যেহেতু শুরুর দিন। তাই হয়তো পরীক্ষামূলক হিসেবে সেই বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। কিন্তু এমন কোনো ঘটনা আর ঘটবে না। আর ক্লিন ফিডের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতের ১৫টি চ্যানেলের মতো চলতে পারে। যেহেতু এমন অভিজ্ঞতা নতুন। তাই এজন্য কিছুদিন সময় লাগবে।’
২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৯(১৩) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশে বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা সঞ্চালন করা যাবে না। তবে এর বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা করতে হলো ২০২১ পর্যন্ত। কারণ এদেশের বাজার ছোট হওয়ায় ক্লিন ফিডের বিষয়ে ব্রডকাস্টারদের রাজি করাতে পারছিলেন না পরিবেশকরা।
তবে শেষ পর্যন্ত সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে গত ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচার করে এমন সব বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ পর আইন মেনে ‘ক্লিন ফিড’ নিয়েই বাংলাদেশে সম্প্রচার শুরু হয় জি বাংলার। কেবল অপারেটর ও পরিবেশকরা জানান, বিদেশি চ্যানেলগুলো আইন মেনে সম্প্রচার করতে চান তারা। তবে এ জন্য কয়েক মাস সময় লাগবে।