নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারী করোনায় দেশে নতুন করে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বেকার হয়েছেন। দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছেন এক কোটির বেশি। এমন অস্থিরতার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে ‘জীবন বাঁচাও দ্রব্যমূল্যের দাম কমাও, জনদুর্ভোগ নিরসন করো’ শীর্ষক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)।
ইনসাবের সাধারণ সম্পাদক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সম্পাদক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশে নিম্ন আয়ের মানুষ প্রতিনিয়ত পরিবার-পরিজন নিয়ে অস্থিরতা ও বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। করোনা মহামারীর পাশাপাশি মশার উপদ্রব, ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্ক, বিভিন্ন অঞ্চলে ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ শ্বাসকষ্টে আক্রান্তের ঘটনায় দেশবাসী এমনিতেই উদ্বিগ্ন। আবদুর রাজ্জাক বলেন, বেহাল চিকিৎসাসেবা মানবজীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। এর মধ্যে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম, এলপি গ্যাসের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষ দিশাহারা।
মানববন্ধনে ইনসাবের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা, কর্মহীনতা, উৎপাদন, বণ্টনসহ সর্বস্তরে মানুষের আয় কমে গেছে। ইতিমধ্যে রেমিট্যান্সের গতিও কমে এসেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশে এই সামাজিক অস্থিরতার পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনি, আটা-ময়দাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি দেশের ও বিদেশফেরত বেকার শ্রমজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান, রেশনিং ব্যবস্থা চালু এবং গ্যাসের দাম কমানোর দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে ইনসাবের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।