বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ও উপখাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতার স্তর (চৎড়ফঁপঃরারঃু খবাবষ) নির্ধারণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য সহায়তায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) ইতোমধ্যে একটি খসড়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা হবে।
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিসিক চেয়্যারম্যান মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ দাবিরুল ইসলাম, বিএসএফআইসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ.কে.এম দেলোয়ার হোসেন, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুল গণি শোভন, এনপিও পরিচালক এস.এম আশরাফুজ্জামানসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে দেশীয় শিল্পকারখানায় স্বল্প ব্যয়ে আন্তর্জাতিকমানের কারিগরি দক্ষতা সেবা (ঞবপযহরপধষ ঊীঢ়বৎঃ ঝবৎারপব) প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়। ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং এনপিও’র নিজস্ব জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দু’টি আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়। সভায় জানানো হয়, খাত ও উপখাতভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে সহায়তার জন্য বিভিন্ন ট্রেডবডি ও এনপিও’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এনপিও এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিডব্লিউসিসিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। এছাড়া এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, বিসিআই এবং বাপা’র সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সভায় এনপিও’র সাংগঠনিক সক্ষমতা ও সেবাদান কার্যক্রম আধুনিকায়নের লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ইতোমধ্যে জাপানের কারিগরি সহায়তায় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অভ্ এনপিও থ্রু স্ট্রেনদেনিং প্রফেশনাল স্কিলস্ অভ্ এনপিওস্ পার্সোনাল এন্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে এনপিও’র অবদান আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
সভায় শিল্পসচিব বলেন, শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কৃষি, শিল্প, সেবাসহ সকল খাত ও উপখাতে যুগপৎ উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী বছর থেকে জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ছয়মাস অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান। জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা আন্দোলন জোরদারে তিনি সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন।