মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত আটটায় মাস্কটের আল-আমিরাত স্টেডিয়ামে দু’দলের ম্যাচটি শুরু হবে।
টানা তিনটি সিরিজ জয়ের গৌরব নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে নামা বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি ব্যাকফুটে। প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে হার নির্দেশ করছে প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয় থেকে শিক্ষা নেয়নি টাইগাররা। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারানোর আত্মবিশ্বাসটা তাই এখন শুধুই বায়ুভর্তি বেলুন।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ধাতস্থ হচ্ছে বলে যে বিশ্বাস দানা বাঁধছিল সমর্থকদের মাঝে; সে বিশ্বাসে চিড় ধরতে শুরু করেছে বিশ্বকাপে অস্তিত্ব সংকটে পড়ায়। সেখান থেকে উত্তরণে টাইগারদের প্রধান চিন্তাটা ব্যাটিং। টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডার ছন্দের অভাব সবখানেই। স্লগ-ওভারে রান তোলার সংকটতো উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। ব্যাটিং অর্ডারে তাই পরিবর্তন দেখা যাবে ওমানের বিপক্ষে।
বিপরীতে পাপুয়া নিউগিনিকে ১০ উইকেটে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ওমান। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ফর্ম নির্ভরতার প্রতীক স্বাগতিকদের জন্য। পেস ও স্পিনের সমন্বয়টাও দারুণ। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে তৈরি ওমান দল তাদের বৈচিত্র্যকে বেশ ভালভাবেই ফুটিয়ে তুলেছে। স্বাগতিক দর্শকের সুবিধা তো সঙ্গে থাকছেই। ওমান ক্রিকেটারদের মাথায় থাকতে পারে ২০১৬ বিশ্বকাপে টাইগারদের কাছে হারের প্রতিশোধ আকাঙ্খাও।
পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হবে স্কটল্যান্ডের। টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে অভিযান শুরু করা স্কটিশদের চোখ তাই টানা দ্বিতীয় জয়ে। হার্ড হিটিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে স্কটিশ ব্যাটসম্যানদের। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের নজির দেখিয়েছেন বোলাররাও।
প্রথমবারের মতো বিশ্ব আসরে পা রাখা পাপুয়া নিউগিনির জন্য অংশগ্রহণই আসল কথা। প্রথম ম্যাচে হার তাই শিক্ষার একটা অংশ তাদের জন্য। তবে দীর্ঘ বাছাইপর্বে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখা ব্যারামুন্ডিসরা রণে ভঙ্গও দেবে না।