মিয়ানমার সংকটের স্থায়ী সমাধানই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবপাচারের সম্ভাব্য শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। ২১ নভেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মানবপাচার’ বিষয়ক এক উন্মুক্ত মিনিস্টিরিয়াল বিতর্কে একথা বলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মর্মভেদী নির্যাতনের কাহিনী, হত্যা ও শোষণ, ডিঙ্গি নৌকায় ভেসে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে শত শত প্রাণহানির ঘটনাসহ ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, এসকল ঘটনা মানবপাচারকারী ও সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রগুলোর অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রকে অবারিত করেছে। রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুর মধ্যে অনেকেই চোরাকারবারি ও মানবপাচারকারীদের সম্ভাব্য শিকারে পরিণত হতে পারে মর্মে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মানবপাচারকারি ও সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রগুলোর প্রতি তীক্ষ্ম নজরদারি বজায় রাখতে বাংলাদেশের সীমান্ত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মর্মে রাষ্ট্রদূত তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ, ইউএন অফিস অন ড্রাগস্ এন্ড ক্রাইম এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ইউরি ফেডোটভ, জাতিসংঘের মানবপাচার বিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার মিস মারিয়া গ্রাজিয়া জিয়ামমারিনারো এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কমিশনার ইসমাইল চেরগুই এসভায় বক্তৃতা করেন। তারা সকলে ‘সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মানবপাচার’ বিষয়টিকে এ সময়ের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেন।