রহমত রহমান: বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বিদেশি, ব্যবস্থাপনা পরিচালকও বিদেশি। এই দুই বিদেশি মিলে গত কয়েক বছরে পণ্যের বৈচিত্র্য এনে ভোক্তাদের নজর কেড়েছেন। করোনা-পূর্ববর্তী ২০১৯ সালে সিঙ্গার বাংলাদেশ রেকর্ড মুনাফা অর্জন করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সরকারকে প্রাপ্ত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছে। দুই বিদেশি শীর্ষ নির্বাহীর পুকুর চুরি দেশি প্রতিষ্ঠানকেও হার মানিয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও বাংলাদেশের আইনকানুনকে পাত্তা না দিয়ে বছরের পর বছর বিক্রির তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ-ভ্যাট) অনুসন্ধানে বহুজাতিক এই প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট ফাঁকির সাতকাহন বেরিয়ে এসেছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, মার্জ (একীভূত) হওয়া প্রতিষ্ঠানের নামে জমা দেয়া হয় ভ্যাট রিটার্ন। অবৈধ রেয়াত নেয়ার জন্য এই রিটার্ন জমা দেয়া হয়। কোম্পানি মার্জ হলেও ভ্যাট কমিশনারেটকে জানানো হয়নি। কোম্পানির সারাদেশে বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে ৪২৪টি। এর মধ্যে ৩১৪টি কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের বাইরে। ১৯টি ওয়্যারহাউসের একটিও ভ্যাট নিবন্ধন নেই। ফলে নিবন্ধনহীন বিক্রয় কেন্দ্র ও ওয়্যারহাউসের ভ্যাট আত্মসাৎ করা হয়। কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার দেড় হাজার কোটি টাকা হলেও তারা ভ্যাট দিয়েছে মাত্র ৩৩ কোটি টাকা। মাত্র চার মাসে প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট ফাঁকি ও অবৈধ রেয়াত নেয়া হয়েছে প্রায় ৯৪ কোটি টাকা! বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের অনিয়মের এমন সাতকাহনের প্রমাণ পেয়েছে এলটিইউ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন ও তল্লাশি করে এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বিস্তারিত