স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের টিকার কোনো অভাব হবে না। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে যার যার প্রয়োজন সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা সেই অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের হাতে ফাইজারের অনেক টিকা রয়েছে। আমরা ৯৬ লাখ টিকা পেয়েছি এবং হাতে আছে প্রায় ৮২ লাখ। আমাদের প্রতিশ্রুতির আরও ৯২ লাখ আছে।
সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিশুশিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে প্রয়োজন তিন কোটি টিকা। ইতোমধ্যে দুই কোটি টিকা নিশ্চিত করা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বেশি পরিমাণে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেবে আমাদের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের টিকাদান কার্যক্রম প্রায় সমাপ্ত হয়ে আসছে। ১২-১৭ বছর বয়সি স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার চাহিদা ছিল অভিভাবকদের। শিক্ষার্থীদেরও আগ্রহ ছিল টিকা নেওয়ার। যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজেদের দেশে শিশুদের যে টিকা দিচ্ছে, সেই টিকা তারা বাংলাদেশকে দিয়েছে। আমরা সেটি শিক্ষার্থীদের দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
প্রসঙ্গত মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ শিক্ষার্থীকে গত ১৪ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। আজ থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো।