কাবুলে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সামরিক হাসপাতালে অন্তত দুটি বিস্ফোরণের পর এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। একজন চিকিৎসক ও তালেবান প্রতিনিধিদের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবারের এ ঘটনায় আরও অন্তত ৪৩ জন আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ হামলার দায় স্বীকার না করলেও খোরাসান আইএস এই হামলায় জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তালেবান সূত্র আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, এটা সম্ভবত একটা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। একজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে হাসপাতালে ঢোকার পথে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারি সায়ীদ খোস্তি জানিয়েছেন, ৪০০ শয্যার সরদার মোহাম্মদ দাউদ খান হাসপাতালের গেটে বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানিয়েছেন তিনি। বিস্ফোরণস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ইতালীয় ত্রাণ গোষ্ঠী ইর্মাজেন্সির একটি ট্রমা হাসপাতাল আছে। আহতদের সেখানে নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের শেয়ার করা ছবিতে কাবুলের কেন্দ্রস্থলের সাবেক কূটনৈতিক জোন ওয়াজির আকবার খান এলাকার কাছে ঘটনাস্থলের ওপরে ধোঁয়ার কু-ুলি দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকার ওপর দিয়ে অন্তত দুটি হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। এদিকে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এক প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বেশ কিছু সংখ্যক জঙ্গি হাসপাতালটিতে প্রবেশ করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
দাউদ খান হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসা একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, তিনি বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর কয়েক মিনিট ধরে চলা গুলির শব্দ পেয়েছেন। এর প্রায় ১০ মিনিট পর দ্বিতীয় আরেকটি আরও বড় বিস্ফোরণের শব্দ পান। বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা হাসপাতালটির ভেতরেই ঘটেছে কি না তা পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালে এই দাউদ খান হাসপাতালে সুপরিকল্পিত একটি হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছিল আইএস। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে মসজিদসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন লক্ষ্যে ধারাবাহিক হামলা