ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, আগামী জানুয়ারি মাস থেকে দেশে চালু হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা। তিনি আজ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটরদের আপত্তিগুলো নিষ্পত্তি করে ফোরজি লাইসেন্সিং গাইডলাইন এবং তরঙ্গ নিলাম গাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এই অনুমোদনের ফলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশে ফোরজি সেবা চালুর পথে আর কোন বাধা থাকছে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে অপারেটররা যে ২৩টি বিষয় বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছিল তার মধ্যে ২২টি সম্পূর্ণভাবে এবং ২৩ নম্বরটি আংশিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। ফোরজি লাইসেন্স আবেদন ফি আগে ছিল ৫ লাখ টাকা এখনও তাই আছে। লাইসেন্স এক্যুইজেশন পূর্বে ছিল ১৫ কোটি, সেটি এখন কমিয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বার্ষিক লাইসেন্স ফি সাড়ে সাত কোটি থেকে কমিয়ে ৫ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ব্যাংক গ্যারান্টি ১৫০ কোটি টাকাই রাখা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, কনভার্সন ফি ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ একই ধাপে রূপান্তর করলে ৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আংশিক রূপান্তর করলে তা হবে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। প্রাথমিকভাবে ফোরজির ডাটা স্পিড ২০ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) রাখা হয়েছে। বিটিআরসি সময়ে সময়ে স্পিড পরিবর্তন করতে পারবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। এটি আগে ছিল ১০০ এমবিপিএস। অপারেটরদের কল রেকর্ডস সংরক্ষণের সময়সীমা কমিয়ে তিন বছরের পরিবর্তে দুই বছর করা হয়েেেছ। ভ্যাট ও ট্যাক্সের বিষয়ে অপারেটরদের অনুরোধে তা বিটিআরসিতে প্রদানের বাধ্যবাধকতা না রেখে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিশোধ করার সুযোগ রাখা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।