রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ‘‘২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭’’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাঁদের পরিবার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত সকল ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ, আমাদের আপনজন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নসহ তাদের মূল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার আলোকে এ বছর প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘‘সবার জন্য টেকসই ও সমৃদ্ধ সমাজ’’ (ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ ঃড়ধিৎফং ংঁংঃধরহধনষব ধহফ ৎবংরষরবহঃ ংড়পরবঃু ভড়ৎ ধষষ) যা খুবই যুগোপযোগী বলে আমি মনে করি।
বিশ্বকে সকলের জন্য বাসযোগ্য করতে টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। তাদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে বিশেষ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, অটিজম রিসোর্স সেন্টার, অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল, প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণসহ প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে উন্নয়নের প্রতিটি ধাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আমি সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিবর্গকে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’