প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৩রা ডিসেম্বর ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে আমি দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও সংগঠনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘সবার জন্য টেকসই ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ি’ (ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ ঃড়ধিৎফং ংঁংঃধরহধনষব ধহফ ৎবংরষরবহঃ ংড়পরবঃু ভড়ৎ ধষষ) অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে প্রসারিত করতে আমাদের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যেখানে কাউকে পেছনে ফেলে বা বাদ দিয়ে নয়’ সকলকে সঙ্গে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা, অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার মধ্যমে তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩ পাস করেছি এবং আইনসমূহের বিধিও প্রণয়ন করেছি। সারাদেশে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারি চাকুরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধীরা আমাদেরই আপনজন। টেকসই ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জ্ঞান, দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়িয়ে এবং তাঁদের ক্ষমতায়িত করে সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে হবে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করতে আমি সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সমাজের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’