পঞ্চায়েত হাবিব
জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ মানুষের প্রত্যাহিত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত। এর একটার দাম বাড়লে যাপিত জীবনে ব্যাপকভাবে সে প্রভাব পড়ে। এমনিতে প্রতিটি পণ্যমূল্য মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে। তারপর আবারও তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় লোকসান কমাতে দেশের বাজারেও তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সামনে আসছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পেট্রল, ডিজেল কিংবা ফার্নেস অয়েল। তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে তেল পাচারের শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এ অজুহাতেই বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি কথা ভাবছে সরকার।
জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে তেল বিক্রি করে সরকার লাভ করেছে। যখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম ছিল তখন দেশে বেশি দামে তেল বিক্রি করেছে। করোনাকালে দেশের মানুষের আয় কমেছে। এমনিতেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখন তেলের দাম বাড়লে ভয়ঙ্কর অবস্থা হতে পারে। এ মুহূর্তে সরকারকে জনগণের পাশে থেকে সুরক্ষা দেয়া দরকার। কিন্তু তা না করে সরকারকে অপ্রিয় করে তুলছেন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা। তাদের তৎপরতায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।বিস্তারিত