কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৩ শত ১০ জন পুরুষ ও ২ শত ৭২ জন নারী মিলে ৫ শত ৮২ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৭ শত ৭৮ জন পুরুষ ও ৬ শত ৬ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩ শত ৮৪ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ২ শত ১৫ জন পুরুষ ও ১ শত ৮১ জন নারী মিলে ৩ শত ৯৬ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৯ শত ৯৭ জন পুরুষ ও ৯ শত ৮৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯ শত ৮৬ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৪ শত ৪ জন পুরুষ ও ২ শত ৫ জন নারী মিলে ৬ শত ৯ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ১৬ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩ শত ৯ জন নারী মিলে ২ হাজার ৪ শত ২৫ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে ১৩ জন পুরুষ ও ২২ জন নারী মিলে ৩৫ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ৭ হাজার ৪ শত ১৭ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৭ লাখ ৩০ হাজার ৬ শত ৫৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭ শত। এর মধ্যে কুতুপালং ক্যাম্পে ২ লাখ ৫৩ হাজাার ৫ শত ৭০ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪ শত ৪৫ জন, ময়নার ঘোনা ক্যাম্পে ১ লাখ ২৬ হাজাার ৭ শত ৪৫ জন, উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে ২৭ হাজার ৬ শত ৬৮ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৬৫ হাজার ৬ শত ৯৫ জন, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ৯ হাজার ৫ শত ৭৭ জন বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিক অবস্থান করছে। তবে অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।