সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে ভাঙচুর করা হয়েছে প্রধামন্ত্রীর ছবিও। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভাটিরচর ঘেলেপাড়া ব্রীজের পূর্ব দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ভূইয়ার নির্বাচনী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া বাদী হয়ে ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যাহ নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সুরুজ (৪২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সাথে বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম ও শহিদুল ইসলাম জানান, রাত তিনটার দিকে দুষ্কৃতিকারীরা মোটর সাইকেল মহড়া দিয়ে ওই নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালায়। শব্দ শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় তারা ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং এলাকাবাসির উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা নৌকা সমর্থিত কর্মী রাজুকে খবর দিলে আরো লোকজন জড়ো হয়।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ ইকবাল হোসেন শামীম প্রায় ৩০টি মামলার আসামি। পরাজয় নিশ্চিত জেনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন। সেই সাথে নিজে নেতৃত্ব দিয়ে ভাংচুর করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন শামীম হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে রাখতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি আমি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছি।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৫ নভেম্বর) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার টিপু সুলতান সপন, সহকারী পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) রেজাউল হক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মো. আবু হানিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিঙ্গাইর সার্কেল) রেজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর খুবই দুঃখজনক। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।