স্টাফ রিপোর্টার
রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে জ্বালানি তেলের ২৩ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি এবং হঠাৎ সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বাস বন্ধ থাকায় সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা যেমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েন; তেমনি সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে পড়ে যান বিপাকে। রাজধানী থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। মহানগরের সব রুটের চলাচল করা বাস বন্ধ। প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে যেতে না পেরে বাসস্ট্যান্ড থেকে অনেকে ফিরে গেছেন। বাস বন্ধ থাকায় সিএনজি, উবার, ওভাই ও রিক্সায় তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ এবং ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সারা দেশের পরিবহন ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও গা করছেন না পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিকদের দাবি তেলের দাম কমাতে হবে। আর বাস মালিক সমিতির দাবি ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী ধর্মঘট তুলে নেয়ার আহ্বান জানালেও ধর্মঘট বন্ধে সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। তবে পরিবহন মালিক সমিতি ও বিআরটিএ সুত্রে জানা গেছে রোববার বিকেলে সব পক্ষ নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হবে।বিস্তারিত