বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতুর বর্ধিত টোল আপাতত নেওয়া হচ্ছে না

যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ধলেশ্বরী নদীর মুক্তারপুর সেতুতে বর্ধিত হারে টোল আদায় শুরু করার কথা ছিল সোমবার রাত ১২টার পর থেকে। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। আপাতত এ দুই সেতুতে বাড়তি টোল দিতে হচ্ছে না।

সোমবার দুপুরে সেতু বিভাগ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিট থেকে বর্ধিত হারে টোল আদায় করা হবে এ দুই সেতুতে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেতু বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিক সমকালকে বলেন, আপাতত বর্ধিত হারে টোল আদায় করা হবে না। আগের হারে টোল দিয়ে যানবাহন চলতে পারবে। তবে বর্ধিত টোল প্রত্যাহার হয়নি। পরবর্তীকালে আদায় করা হবে।

ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর বাসের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনেও ধর্মঘট শুরু হয়। এরপর গত ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেই ধর্মঘট স্থগিত করা হয়। সেই বৈঠকের পর পরিবহন নেতারা জানিয়েছিলেন, সরকার ডিজেলের দাম কমাতে রাজি না হলেও দুই সেতুর বর্ধিত টোল স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছে।

এরমধ্যে সোমবার মধ্যরাত থেকে বর্ধিত হারে টোল আদায়ের গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে পণ্য পরিবহনের মালিক শ্রমিকরা ফের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

এ কারণেই বর্ধিত টোল আদায় বন্ধের সিদ্ধান্ত কি-না, এ প্রশ্নে সেতু সচিব বলেন, আন্দোলনের সম্পর্ক নেই। বর্ধিত হারে টোল আদায়ে কিছু প্রস্তুতি বাকি রয়েছে। কবে নাগাদ নতুন হারে টোল আদায় হবে, তা স্পষ্ট করে জানাননি সচিব।

ট্রাক কাভার্ডভ্যান প্রাইম মুভার মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ৭ নভেম্বরের বৈঠকে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বর্ধিত টোল আদায় করা হবে না। এরপরও বর্ধিত হারে টোল নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি অনুচিত হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত বর্ধিত টোল আদায় স্থগিত করায় সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহনখাতের সুরক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বর্ধিত টোল একেবারে প্রত্যাহার করতে হবে।

গত ২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতুর টোল বৃদ্ধি করে সরকার। সেই দিন সচিব আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছিলেন, সফটওয়্যার হালনাগাদের পর দুই একদিনের মধ্যে নতুন হারে টোল আদায় হবে। যদিও পরিবহন ধর্মঘটে সরকার তা কার্যকর স্থগিত রাখে।

সারাদেশ