স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে উন্নয়ন আমাদের সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য দু’টি উপাদান, যার সাথে জড়িয়ে আছে সমগ্র দেশের উন্নয়ন। এই দুই ক্ষেত্রেই বায়োটেকনোলজি বা জীবপ্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার আমাদের এনে দিতে পারে খাদ্যে দীর্ঘস্থায়ী স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং সুলভ মূল্যে ঔষধ এবং প্রতিষেধকের নিশ্চয়তা।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সিনেট হলে এষড়নধষ ঘবঃড়িৎশ ড়ভ ইধহমষধফবংযর ইরড়ঃবপযহড়ষড়মরংঃং আয়োজিত “৩ৎফ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হভবৎবহপব ড়হ ইরড়ঃবপযহড়ষড়মু রহ ঐবধষঃয ধহফ অমৎরপঁষঃঁৎব” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপখাইয়ে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিভিত্তিক জ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কৃষির আধুনিকায়নে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন রক্ষণশীলতা, অজ্ঞতা ও মূঢ়তা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে, এ থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। তিনি উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বিদেশি সাহায্য নিতে হচ্ছে, মনে রাখতে হবে শুধু বিদেশের সাহায্য নির্ভরতায় না থেকে আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, দূরদর্শী ও অগ্রসর চিন্তার নেতৃত্বের ফলে কৃষির আধুনিকায়নে আমরা বিশ্বের অনেক দেশের থেকেই এগিয়ে আছি। বাংলাদেশে ক্ষতিকারক পোকার প্রতিরোধক জিন সন্নিবেশ করে নতুন বেগুনের জাত উদ্ভাবনকে স্বাগত জনিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা পাটের জিনোম এবং পাটের কা-পচা রোগের জন্য দায়ী ছত্রাকের জিনোম সিকোয়েন্সে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যতে মজবুত আঁশযুক্ত পাট বা কা-পচা রোগ প্রতিরোধী জাতের উদ্ভাবন সহজতর হবে। বন্যা সহনশীল ধানের পরীক্ষা চলছে এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইসের বাণিজ্যিকীকরণ করতে পারবে। ক্রিস্পার ক্যাস নাইন (ঈজওঝচজ-ঈঅঝ৯) নামক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা ব্লাস্ট প্রতিরোধী ধান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর জেবা ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যাঞ্চেলর প্রফেসর ড. এম আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের ডিন প্রফেসর ড. এম এমদাদুল হক এবং ওধিঃব টহরাবৎংরঃু, ঔধঢ়ধহ এর ফ্যাকাল্টি অব এগ্রিকালচারের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. আবিদুর রহমান। সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলর প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।