নিজস্ব প্রতিবেদক
নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে আবারও সড়কে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) হাফ পাস এবং নিরাপদ সড়কের ৯ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অনশন করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে পাঠিয়ে দেয়। পরে তারা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।
এর আগে, সম্প্রতি প্রথমে গুলিস্তানে পরে রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা। সে সময় প্রথম ৯ দফা দাবি উত্থাপন করে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি:
১. মানের কাঠামাগত হত্যাকাণ্ডের দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বাসের চেয়ারম্যান, ব্যক্তি ও রাষ্ট্রকে নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বাসের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২.তাতে হত্যাকাণ্ডের দায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ফাঁসির কথা বলে সিটি কর্পোরেশন প্রধান হিসেবে মেয়র দায় এড়াতে পারবেন না)।
৩. ফিটনেস বিইনি যানবাহন রাস্তায় পাওয়া গেলে বি আর টি এ কে এর দায় নিতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন দ্বারা কোনো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলে ঐ যানবাহনের মালিক এবং বিআরটিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. প্রাইভেট পরিবহনের বদলে সরকারের আওতায় গণপরিবহন চালু করতে হবে। সকল ড্রাইভার, হেলপারকে চুক্তিভিত্তিক। নিযােগের পরিবর্তে নির্দিষ্ট মাসিক বেতনের আওতায় আনতে হবে।
৫. ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকলে ড্রাইভারকে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
৬. সারা ঢাকা শহরকে নগর পরিকল্পনার আওতায় এনে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল এবং যথাযথ জেব্রা ক্রসিং এর ব্যবস্থা করে রাস্তা পারাপার বান্ধব শহর তৈরি করতে হবে।
৭. শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে।
৮.হকারদের পূর্ণ ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে রাস্তা ও ফুটপাত হকার মুক্ত করতে হবে।
৯. রাস্তাঘাটের উন্নয়নজনিত কোন কাজে দীর্ঘসময় চলাচলে বিঘ্ন তৈরি হলে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়কে দায় নিতে হতে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার বাতিল করতে হবে।