দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ, যা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। একদিনের ব্যবধানে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে গেছে।
গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরও দুইদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও বিস্তৃত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
তাপমাত্রার পারদ সবচেয়ে বেশি নেমেছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া যশোরের তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছিল।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ ও এর কাছাকাছি তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, অনুকূল পরিস্থিতির কারণে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা শীতল বাতাস দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। যে কারণে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, আগামী দুইদিন এ শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। এরপর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে আবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
জানা গেছে, সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষ। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু ও বৃদ্ধ হাসপাতালে শীতজনিত রোগ-বালাইয়ের চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগী ভর্তিও বেড়ে গেছে।