- তিন হাজার লাইসেন্স বাতিল করেছে বিআরটিএ
- ঢাকা সার্কেলের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা
আজাদ সুলায়মান ॥ একদিকে সড়কে মৃত্যুর মিছিল, অন্যদিকে অদক্ষ চালকদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে মারণাস্ত্র-ড্রাইভিং লাইসেন্স। সড়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীসহ দেশজুড়ে এসব ভুয়া লাইসেন্সধারী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার করুণ পরিণতি- সড়ক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি বিআরটিএ-এর মুন্সীগঞ্জ ও সাভার সার্কেল অফিসের দুটো জাল জালিয়াতি ও ভুয়া লাইসেন্স প্রদানের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে এ ধরনের ভয়াবহ তথ্য। সবচেয়ে বড় বিতর্ক দেখা দিয়েছে- এমন একটি প্রমাণিত অভিযোগ যার বিরুদ্ধে- সেটা যিনি তদন্ত করছেন তারও নৈতিকতা ও সততা নিয়েও। যিনি এতদিন নিজেই ভুয়া লাইসেন্স প্রদানকারীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন- সেই কর্মকর্তাকে দিয়েই দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির তদন্ত করানোর সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিআরটিএ’র সাধারণ স্টাফদের মাঝে। এরই মাঝে অভিযুক্তদের রক্ষা করার জন্য আপোস রফার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় লাইসেন্স জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদেরই আবার ঢাকা সার্কেলের মতো জায়গায় প্রাইজ পোস্টিং দেয়া হয়েছে। এ সব ঘটনা অনেকটা কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার মতো অবস্থা। যদিও প্রতিষ্ঠানটির ভেতর থেকে দেয়া তথ্যমতে- সারাদেশের সড়ক মহাসড়কে কমপক্ষে ৫০ হাজার অদক্ষ চালক বা ভুয়া লাইসেন্সধারী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান দাবি করছেন, ভুয়া লাইসেন্স এত হবে না। অনেক কম। কিন্তু কত কম সেটার কোন পরিসংখ্যান তিনিও দিতে পারেননি। তবে তিনি অভিযুক্ত তন্ময় কুমার ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জের এডি যে ৩ হাজার ভুয়া লাইসেন্স প্রদান করেছিল- সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। এগুলো দিয়ে কোন চালক আর গাড়ি চালায় না।’বিস্তারিত