বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম দুজনেরই করোনা টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন যাবৎ মহাসচিবসহ ভাবি অসুস্থ বোধ করছিলেন। গত পরশু (রবিবার) ভাবির এবং গতকাল (সোমবার) রাতে মহাসচিবের করোনা টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, মহাসচিব ও তার স্ত্রী বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ ও করোনা বিশেষজ্ঞ ডা. রায়হান রাব্বানীর তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলছে। তারা দুজনই এখন সুস্থ আছেন। তাদের গলায় কিছুটা খুসখুসে কাশি আছে। অন্য কোনো উপসর্গ এখনো দেখা যায়নি।
দেশবাসীর কাছে তারা দোয়া চেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক জাহিদ।
এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানিয়েছিলেন, মহাসচিবের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার রাতে করোনা পরীক্ষা করলে তার পজিটিভ ফল আসে। এছাড়া মহাসচিবেরও করোনা পজিটিভ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
সর্বশেষ গত ৮ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
গত বছরের ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। গুলশানের বাসায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা দেন।
গত বছর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং দলের স্থায়ী কমিটি থেকে অবসর নেয়া সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মাহবুবুর রহমান সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে উঠলেও করোনায় মারা যান দলের ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফ, কেন্দ্রীয় নেতা খুররম খান চৌধুরী, খন্দকার আহাদ আহমেদ, আবদুল আউয়াল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানসহ বেশ কিছু নেতৃবৃন্দ।