নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড বাড়ছে, সরকার আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত। করোনা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। আগে যে ধরনের সহযোগিতা উনাদের কাছ থেকে পেয়েছি, সে ধরনের সহযোগিতা আগামীতেও পাব বলে আশা করছি। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে হলে আমাদের অবশ্যই করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা আমাদের রাখতে হবে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। ভ্যাকসিন কার্যক্রমেও ডিসিরা সহযোগিতা করছেন।
অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডোজ দেয়া হয়ে গেছে। সরকার হাতে এখনও ৯ কোটি ডোজ টাকা রয়েছে। টার্গেট, ১২ কোটি মানুষের ভ্যাক্সিনেশন করতে যা টিকা লাগবে সে টিকা সরকার হাতে রয়েছে। এটি বিরাট বিষয়। অনেক দেশের এই পরিমাণ টিকা নাই। মজুদ টিকা দিয়ে মাধ্যমে ১২ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হবে।
এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ এক শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভ্যাক্সিনেশন কমপ্লিট। যারা বাকি রয়েছে তাদেরও দ্রুত টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
ডিসিরা কোনো দাবি জানিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা পর্যায়ে প্রতিটি জেলায় হাসপাতাল নির্মাণে জেলা প্রশাসকদের একটি দাবি ছিল। সেই বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোর নির্মাণ কাজ চলমান। কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আটটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন, যার একেকটি সাড়ে ৪০০ বেডের। এখানে ক্যানসার কিডনি ও হার্টের রোগের চিকিৎসা হবে। সামনেও এমন হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি।
নদী দূষণে জড়িত শিল্প-কারখানার দিকে নজর দিতেও ডিসিদের আহ্বান করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নদী, পানি দূষণ হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। এই পানি যারা ব্যবহার করছে, তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই বিষয়ে নজর দিতে হবে।