ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান  ইভ্যালির লকারে মাত্র ২,৫৩০ টাকা কমিটির ধারণা, অর্থ পাচার করেছেন ইভ্যালির রাসেল

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির লকারে মাত্র ২,৫৩০ টাকা কমিটির ধারণা, অর্থ পাচার করেছেন ইভ্যালির রাসেল

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্ধ হয়ে যাওয়া আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দুটি লকার ভেঙে পাওয়া গেছে দুই হাজার ৫৩০ টাকা আর বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বহু চেকবই ও ফাইলপত্র। গতকাল সোমবার ইভ্যালির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে লকার ভেঙে এসব পাওয়া গেছে।

লকার ভাঙার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাইকোর্ট নির্দেশিত বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ইভ্যালির মোহাম্মদ রাসেল অর্থ পাচার করেছেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ইভ্যালির যত কাগজ আমরা পর্যালোচনা করেছি, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে বিদেশে অর্থপাচার হয়ে থাকতে পারে।’
ইভ্যালির দুটি লকার কাটার পর বেশ কিছু চেকবই পাওয়ার বিষয়ে বিচারপতি মানিক বলেন, এটা তাদের ব্যাবসায়িক পলিসি হতে পারে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই বিপুলসংখ্যক চেক লকারে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা তাঁর।

বোর্ডের চেয়ারম্যান আরো বলেন, চেকের পরিমাণ বেশি হওয়াতেই হয়তো তারা নিরাপদ জায়গা হিসেবে লকার বেছে নিয়েছিল। অনেক চেকে স্বাক্ষর থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্ধার করা কোনো চেকেরই ভ্যালিডিটি (বৈধতা) নেই। হাইকোর্ট আগেই এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।

হাইকোর্টের নির্দেশে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির পরিচালনার দায়িত্ব নেয় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ। এ পর্ষদ গত তিন মাসে ৯টি বোর্ডসভার পাশাপাশি ইভ্যালির অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করছে। পর্ষদ এ পর্যন্ত সিটি ও সাউথইস্ট ব্যাংকে থাকা ইভ্যালির দুটি হিসাব এবং ২৪টি গাড়ি ও ৯টি গুদামের সন্ধান পেয়েছে।

অর্থ বাণিজ্য