ক্ষমতাচ্যুত ও কারাবন্দি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আরও একটি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। এ নিয়ে এই নেতার বিরুদ্ধে ১১ অভিযোগ আনা হলো। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সু চির বিরুদ্ধে নতুন করে আনা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এই নেত্রী দেড়শো বছরের বেশি মেয়াদে সাজার মুখোমুখি হতে পারেন।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মোট ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে তার। আর সেটি হলে সু চির মোট সাজার মেয়াদ ১৫০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সু চির সমর্থক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, দেশটির সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের বৈধতা দেওয়া ও সু চিকে রাজনীতিতে ফিরে আসা থেকে বিরত রাখার জন্য তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দেওয়া হয়েছে। যদিও মিয়ানমারের জান্তা সরকার তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে দেশটির সিংহভাগ মানুষ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে এখনও প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। মিয়ানমারে সেনা অভুত্থানের পর সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ মানুষ নিহত