বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল স্বরূপে ফিরবেন বলে আশা করছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন বরিশাল। সাত ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশাল। তবে তালিকার শীর্ষ চারটি দলই পরস্পরের বেশ কাছাকাছি অবস্থান করছে। বাকি ম্যাচগুলোর একটিতে হারলেই তাদেরকে দিতে হবে চরম মূল্য।
কিন্তু বরিশালের বড় সমস্যা হচ্ছে ব্যাটিং, বিশেষ করে টপ অর্ডারে। তারা এখনো পর্যন্ত জ্বলে উঠতে পারেনি। তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি যে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তার মুল কারণ বোলিংয়ের শ্রেষ্ঠত্ব। তিন ম্যাচে মাত্র ১৫০ রানের কম স্কোরেও ম্যাচ জিতেছে। এর নেপথ্যে ছিল তাদের বোলিং সামর্থ্য। তবে প্রতিটি ম্যাচেই বোলাররা তাদের জয়ী করতে পারবে না।
ব্যাটিং সমস্যা কাটাতে হলে জ্বলে উঠতে হবে গেইলকে। কিন্তু ৫ ম্যাচ থেকে মাত্র ১১৭ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।
‘ইউনিভার্স বস’ খেতাবধারী এই তারকাকে নামের সুবিচার করতে হবে। বরিশালের ব্যাটিং পরামর্শক বলেন,‘ সত্যিকারার্থে এটিই আসল ব্যাপার। কারণ রান ছাড়া তার কাছ থেকে আমাদের পাবার কিছু নেই।’
গেইল যে তার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, সেটি গোপন কিছু নয়। এমনকি তার ফিল্ডিংও দলের জন্য চিন্তার বিষয়। তবে ফাহিমের ভাষ্যমতে তিনি কোনটা করতে পারেন সেটি সবাই জানে। ক্রিজে যদি একবার থিতু হতে পারেন তাহলে একাই ধ্বসিয়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষকে।
বয়স এবং ফিল্ডিংয়ের কারণে এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে নাম ওঠেনি গেইলের। তবে আইপিএলে কিছু ঈর্ষণীয় রেকর্ড রয়েছে গেইলের। বিপিএলেও তার অসাধারণ কিছু রেকর্ড আছে। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত ফাইনালে মাত্র ৪৬ বলে সেঞ্চুরি হাকিয়ে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সকে শিরোপা পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
মাত্র ৩৬ বলে ৫০ হাকানোর পর বাকি পঞ্চাশ রান করেছিলেন মাত্র ১০ বলের মোকাবেলায়। এমনকি ২০১৭ সালের বিপিএলের ফাইনালেও ১৪৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। তার ১৮ ছক্কার ম্যচটি একনো আসরের রেকর্ড বইয়ে জ্বলজ্বল করছে।
ফাহিম বলেন, ‘পাঁচ ওভারেই ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেয়ার মত দক্ষতা এখনো গেইলের রয়েছে। এ কারণে আমরা এখনো তার উপর আস্থা রাখতে চাই। এজন্য সেই জায়গাটা তাকে ছেড়ে দিতে চাই যাতে তিনি পুরোপুরি মনোযোগী হতে পারেন। তার জায়গা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। আশা করি সময় যত গড়াবে তিনি মনিয়ে নেবেন এবং ধীরে ধীরে আরো ভাল করবেন।’
অবশ্য কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য সব খেলোয়াড়রা কঠোর অনুশীলন করলেও গেইল সেদিকে হাঁটেন না। তিনি সাদামাটা ব্যাটিং অনুশীলনই করে থাকেন। তবে এজন্য দলের কোন ক্ষতি তিনি করেন না বলেও জানান ফাহিম।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি তারা যে ক্রিকেট সংস্কৃতি থেকে এসেছেন সেখানে এমনটাই হয়ে তাকে। ম্যাচকে এভাবেই তারা নিয়ে থাকেন। আমরাও গেইলের সেই বিষয়টির দিকেই তাকিয়ে আছি। যাতে এটি দলের পারফর্মেন্সের কোন ক্ষতি না করে। আমাদের শৃঙ্খলার কোন ক্ষতি না হয়।তবে সবাই বেশ সক্রিয় এবং নিজের কাজ করে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে শালিনতা।’
ফাহিম বলেন, ‘ক্রিকেটে একটি কথা প্রচলিত আছে। যেদিন গেইল পার্টি মেজাজে থাকবে সেদিন অন্যদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।’