দেশে ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত

দেশে ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গেল বছরের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ভাইরাসটির ওমিক্রন ধরনে এবং বাকি ১২ শতাংশ ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) ও উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে মোট ৯৩৭ জন রোগীর নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করা হয়।

তিনি বলেন, জরিপের ফলাফল অনুসারে, অধিকাংশ রোগীর বয়স ৩০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে এবং শিশুরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

আক্রান্ত রোগীদের ৫১ শতাংশ নারী ও ৪৯ শতাংশ পুরুষ।

কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন-ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের মধ্যে এ রোগের প্রকট বেশি।

গবেষণায় বলা হয়, ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক কেউ দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত হলে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি।
২০২১ সালের জুলাইয়ের করোনা রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৯৮ শতাংশ রোগী ভারতীয় ডেল্টা ধরন, এক শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন বা বিটা ধরনে সংক্রামিত হয়েছে এবং অন্য এক শতাংশ মরিশাস বা নাইজেরিয়ান ধরনে আক্রান্ত হয়েছে।

তবে ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংগ্রহ করা নমুনায় দেখা যায় ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ রোগী ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।

১৮ জানুয়ারি প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর ৮০ শতাংশ ডেল্টা ধরন ও ২০ শতাংশ ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমের চলমান গবেষণার লক্ষ্য বাংলাদেশে একটি কোভিড-১৯ জিনোম ডাটাবেস তৈরি করা। যার মাধ্যমে ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য, পরিবর্তন, ধরন ও বৈশ্বিক কোভিড-১৯ জিনোম তথ্যের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক প্রকাশ করা।

অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিগগিরই তারা আগামী সপ্তাহের ফলাফল হালনাগাদ করার ব্যাপারে আশাবাদী।

জরিপটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান ও জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানুর নেতৃত্বে একটি টিম করছে।

জাতীয়