নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় তৃতীয় দিনের তল্লাশি অভিযানে শিশুসহ আরো দু’জনের লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, মঙ্গলবার সকালে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ শাহ সিমেন্ট এলাকা থেকে এক পুরুষ (৩০) এবং হরিহপুর এলাকা থেকে তিন বা চার বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
রোববারের ওই ঘটনায় এ নিয়ে মোট ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নৌ পুলিশ জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান সোমবার রাত পর্যন্ত মোট চারজন নিখোঁজ থাকার তথ্য জানিয়েছিলেন।
তারা হলেন মুন্সীগঞ্জ গজারিয়ার জয় রামের সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে আরোহী, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ বিষ কাঠালী এলাকার আব্দুল্লাহ্ আল জাবের (৩২), মুন্সীগঞ্জ জোবায়ের হোসেন এবং কুয়েত প্রবাসী মোসলেম উদ্দিন হাতেম (৫৫)।
ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকালে দু’জনের লাশ পাওয়ার পর স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। লাশ দুটি শনাক্ত হলে নিখোঁজের তালিকায় আরো দু’জনের নাম বাকি থাকবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, মঙ্গলবারও নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ডুবুরিরা।
রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন মালবাহী জাহাজ রূপসী-৯ পেছন থেকে চাপা দিলে ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চে সে সময় অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে নৌপুলিশের ভাষ্য। যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ থাকেন বেশ কয়েকজন।