এবারের রোজার মাস শুরু হচ্ছে সড়কে বিশৃঙ্খল অবস্থায় ভয়াবহ যানজট সামনে রেখে। অন্য বছরের তুলনায় এবার যানজট বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে- স্বাভাবিক সময়ে অফিস আদালতমুখী চাকরিজীবী ও অন্য যাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হবেন। তাদের ক্লাস ধরতে হবে। ফলে সড়কের ওপর সকাল থেকে একযোগে চরম চাপ তৈরি হবে। এর ফলে রাজধানীর চেহারা কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়। যানজটের এই মহানগরে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বিআরটিসির যাত্রীসেবাসহ ট্রাফিক পুলিশকে রমজানে আগের চেয়ে বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
জানা গেছে, যানজট সহনীয় রাখতে বিআরটিসি যাত্রীদের ট্রিপ দেবে। অন্যদিকে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) নেতৃত্বে রাজধানীর সব কটি যানজটপ্রবণ রুট তদারকি করা হবে। ট্রাফিক উত্তরা জোনের ডিসি সাইফুল ইসলাম জানান, রমজানে অতিরিক্ত জনবল থাকবে সড়কে। লাইন থেকে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হবে।
গেল দুই বছরে করোনার কারণে অফিস-আদালত সীমিত ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। রোজা শুরুর আগ থেকেই যানজট তীব্র। এবার অফিস সাড়ে তিনটা পর্যন্ত খোলা। এক শিফটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকাল সাড়ে ৯টা কিংবা ৮টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় ছুটি হবে। স্কুলভেদে দুই শিফটের স্কুলের প্রভাতী শাখা সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয়ে দুই ধাপে বেলা দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত চলবে। ইফতারের চিন্তায় প্রায় কাছাকাছি সময়ে মানুষ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করে। রোজার মাসে গাড়ির মুভমেন্ট থাকে নির্ধারিত কিছু কর্মঘণ্টার মধ্যে। এমন অবস্থায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এবার রোজার আগে থেকেই যানজট অসহনীয় হয়ে পড়েছে। রোজায় মানুষের বের হওয়ার প্রবণতা থাকবে বেশি। টার্গেট ঈদ। ছাত্র, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত যাতায়াত চলে। এতে করে দুর্বিষহ না হয়ে ওঠে জনজীবনÑ সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে নগরবাসীর। যানজট ঠেকানোর জন্য নেওয়া চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বরং যানজট বেড়ে গেছে।
বুয়েটের হিসাবে, যানজটে ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এক দশক আগে ঢাকার যানবাহনের গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার, সেখান থেকে নামতে নামতে সেটি এখন ঘণ্টায় ৬ দশমিক ৪ কিলোমিটার, প্রায় হাঁটার গতির সমান। অনেকে করোনায় স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি কিনেছেন। অনেকে কাজ হারিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য রিকশা, ভ্যান ও রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। এতে করে ঢাকা শহরে আগের তুলনায় চাপ বেড়েছে। সেই তুলনায় বাড়েনি রাস্তা। বরং ফ্লাইওভার, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে ঢাকার রাস্তা।
রাস্তার ধারণক্ষমতা না থাকলেও চাপ নিতে হচ্ছে এ দেশের যানবাহনকে। অথচ সেই তুলনায় গাড়ি নেই। রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। অফিস শুরু ও অফিস শেষে যেন যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারেন সে ব্যবস্থার দাবি করেছেন তারা। সকালে অফিসে রওনার সময় দেখা যায় শহরজুড়ে যাত্রীর তুলনায় গাড়িসংকট। সময়মতো গন্তব্যে যেতে মানুষ রিকশাসহ বিকল্প বাহনে চড়ার চেষ্টা করেন। কিছু বাহন চলে আসে প্রধান সড়কগুলোয়। এ ছাড়া রাস্তার মোড়গুলোয় নিয়ন্ত্রণের অভাবে গাড়িজট তৈরি হতে থাকে। এর রেশ চলে দিনভর। তা ছাড়া যেখানে-সেখানে পার্কিং, অযান্ত্রিক বাহনের আধিক্য যানজটকে তীব্র করে দেয়। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগসহ এনফোর্সমেন্টের ওপর নজর দেওয়াকে প্রধান কাজ হিসেবে দেখা জরুরি। তা ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলকে নিরুৎসাহিত করতে বাস-মিনিবাসের বিশেষ সার্ভিস দেওয়া দরকার। স্কুল-ভ্যানের চেয়ে বেশি প্রাইভেট কার দিয়ে শিক্ষার্থী পরিবহনের প্রবণতা লক্ষণীয়। একবার স্কুলে দেওয়ার পর বাসায় ফিরে এসে আবার আনতে যাওয়ার কারণে চার বার একটি রাস্তায় চলাচল করে। এটি রোধ করা দরকার। ঢাকা শহরে স্কুলের অবস্থান প্রধান সড়কের পাশে। দূর থেকে ভালো মানের নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর প্রবণতা তো আছেই। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি এসে রাস্তার পাশে জড়ো হয়ে জট লাগায়। সন্তানদের আনা-নেওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির বিলাসিতা রয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে যাত্রী তোলার প্রবণতায় স্টপেজ ও রাস্তার মোড়ে গাড়িজট লেগেই থাকে। এগুলো যানজট সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এমন বাস্তবতায় গণপরিবহন বৃদ্ধিতে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। চলমান উন্নয়ন কাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় এবারের রমজানে সড়ককে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাকে বড় চ্যালেঞ্জ বলছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা। ডিএমপির এক বৈঠকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, যেখানে-সেখানে যাত্রী না ওঠানো-নামানো বন্ধে আলোচনা হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম গত রাতে বলেন, বিআরটিসি রাষ্ট্রায়ত্ত গণপরিবহন। সারাদেশে প্রায় ১২০০ বাস চলছে। রাজধানীতে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক তথা প্রায় ৬০০ বাস চলাচল করবে। উদ্দেশ্য রোজায় যেন মানুষ সময়মতো গন্তব্যে যেতে পারেন। আর অফিসফেরত যাত্রীদের সুবিধার্থে রোজার মাসে বিকাল তিনটা থেকে অতিরিক্ত ট্রিপ দেওয়া হবে। ডাবল ডেকার বাসও চলবে। একটি সাধারণ বাসে অল্প যাত্রী পরিবহন করলেও দ্বিতল বাসে কিন্তু ৭৩টি আসন রয়েছে। সব মিলিয়ে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হবে বিআরটিসির মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনে।
এ বিষয়ে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক গতকাল বলেছেন, রোজার মাসে সবাই চাইবে প্রায় একই সময়ে বাড়ি ফিরতে। পরিবহন চাহিদার জোগান মাথায় রাখতে হবে প্রথমে। এর পর যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি তৎপর হতে হবে। রাস্তার মোড়গুলোতে গাড়ি যেন আটকা না পড়ে। তা ছাড়া রোজার মাসে রিকশাগুলো প্রধান সড়কের মধ্যে বেশি ঢুকতে চায়। এ ছাড়া পবিত্র এ মাসে মানুষের চলাচলের সময়টা সীমিত হয়ে পড়ে। এর মধ্যে চালু আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কর্মক্ষেত্রও সচল। এ রকম অবস্থায় মানুষের যাতায়াতের পথটি মসৃণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গণপরিবহন তথা বিআরটিসির বাস বেশি করে শহরে ছাড়তে হবে। তবে এতে খুব একটা কাজ দেয় না। তাই এনফার্সমেন্টের ওপর জোর দিতে হবে। গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যাপারে খুব সজাগ থাকা দরকার। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলার প্রবণতা থাকবে। কম সময়ে বেশি রোজগারের চেষ্টা। আবার ব্যক্তিগত গাড়িও যেখানে-সেখানে পার্কিংয়ের ফলে যানজট বাড়ে। পুলিশকে সোচ্চার থাকতে হবে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে। কেবল পুলিশ নয়, কমিউনিটি পুলিশসহ বিকল্প পন্থারও আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এভাবে অন্তত এক দেড় সপ্তাহ চলতে থাকলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে। চোর-পুলিশ খেলার প্রবণতা কমবে তাদের মধ্যে। যাত্রীরা বুঝতে শুরু করবেন, বাসা থেকে বের হলেই চলবে না, সময় ও যান চলাচল মাথায় রেখে তারা এগোবেন। বলে রাখা ভালো, রমজানে মানুষের উপার্জনের ইচ্ছা বাড়ে। করোনার কারণে আর্থিক সমস্যা এর একটা কারণ বটে। তদুপরি শহরকে শৃঙ্খলায় রাখতে গেলে সমস্ত বিষয় বিবেচনায় রেখে ফুটপাত, রাস্তার মোড় ও রাস্তার ধারে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা রোধ করতে হবে কঠোরভাবে। অনেকে ইনটেনশনালি গাড়িজট দেখতে চান। উদ্দেশ্য নিজেদের পকেট ভারী করা। এ সুযোগ যেন কোনোভাবেই না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
সূত্র মতে, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন যানজট বেশি অসহনীয়। গেল দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকে ভেবেছিলেন ঢাকার যানজটের সমাধান হয়ে গেছে। এটাও ঠিক পরিকল্পনামাফিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি এই শহরে। উন্নত দেশে সাধারণত স্কুলকেন্দ্রিক যাতায়াত বা ট্রিপটাকে কখনো প্রধান সড়কে যেতে দেয় না। সেখানের স্কুলগুলো হয় কমিউনিটিভিত্তিক। দূরের বাচ্চাদের জন্য নিজস্ব স্কুলবাস থাকে। এদিকে শহরজুড়ে আছে উন্নয়ন প্রকল্প। নেই সেগুলোর সুফল। এক এক করে নির্মাণ করা হচ্ছে ফ্লাইওভার। এতে করে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধিকে। বর্তমানে আছে মালিকনির্ভর পাল্টাপাল্টি বাস সার্ভিস। এগুলোকে একটি বা একাধিক কোম্পানির অধীনে এনে ভালো মানের সেবাদানের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হয়নি আজও। বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে পাইলটিং হচ্ছে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর গাড়ি চলাচলের রুট। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান সে রুটে বাস না চালালে শাস্তির সুযোগ নেই। কারণ ওই বাস এর আগে রুট পারমিট নিয়েছে নির্দিষ্ট রুটের জন্য। এতে করে এ সার্ভিসটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি এখনো। ঢাকায় এখনো নেই বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) সিস্টেম। গাজীপুর থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন। কবে এটি শেষ হবে বলতে পারছে না কেউ। অথচ বিশ্বের ১৭৫টি শহরে দুই বছরের মাথায় বিআরটি করা হয়েছে। এর সুফলও ভোগ করছে সেসব দেশের মানুষ। বিআরটির আগেই ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল নির্মাণে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। অথচ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা সংকুচিত করা হয়েছে অবৈজ্ঞানিকভাবে। বলে রাখা ভালো, বিশ্বের অনেক স্থানে এখন ফ্লাইওভার ভাঙা হচ্ছে। নতুন নতুন ফ্লাইওভারের প্রকল্প নিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থাকে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে ঢাকার সড়কে এক লাখ ১৮ হাজার এবং ২০২১ সালে এক লাখ ৫০ হাজার নতুন যানবাহন নেমেছে। চলতি বছরে প্রথম দুই মাসে নেমেছে ২৯ হাজার ৬৭৮টি যানবাহন। গত দুই বছরে তিন লাখ গাড়ি বেড়েছে। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলার উন্নতি হয়নি। ফলে আগের রমজানের তুলনায় আরও বেশি যানজট ও ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে।
সরকারের পরিবহন পরিকল্পনা হিসাব করলে দেখা যাবে, ১৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে পাঁচটি এমআরটি চালু করা হবে। অথচ সেগুলো পুরো পরিবহনের মাত্র ১৭ শতাংশের চাপ নিতে পারবে। তখনো ৪০ শতাংশ চাপ নেবে গণপরিবহন। আরেকটি বড় বিষয় উপেক্ষিত। নগরীর যানজট কমাতে সমন্বিত ব্যবস্থার ঘাটতি। ঢাকার চারপাশ ঘিরে নেওয়া বৃত্তাকার রুট চালু করা এখনো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সড়ক, নৌ ও রেল সব পথকে সমন্বয় করে গণপরিবহনের কথা বলা হয়েছিল সরকারের ২০১৩ সালের একটি পরিকল্পনায়। বাস্তবায়নের অগ্রগতি নেই বললেই চলে। আরও ধর্তব্য বিষয়Ñ এই শহরে ব্যক্তিগত বাড়ি কমানোর ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বহু দিনের। এটি মানা হচ্ছে না। আর রাস্তার ট্রাফিক, সিগন্যাল ও রক্ষণাবেক্ষণে কেবল টাকা খরচ হচ্ছে। ফল নেই। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগ পৃথকভাবে প্রকল্প নিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এসব প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে। হয়েছে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থের অপচয়। দূর হয়নি যানজট।
জানা গেছে, এবার রোজায় যানজট ঠেকাতে ডিএমপির ৫০ থানার পুলিশ সহায়তা করবে ট্রাফিক পুলিশকে। রোজায় যান চলাচল ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে তারা। ইতোমধ্যে থানাপুলিশকে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয় রিকশা-ভ্যান চলতে দেওয়া হবে না। এসব বাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কের পাশে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি মাথায় রেখে সকালে ও বিকালে বিশেষ জোর দিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করা হয়। কিন্তু রমজানের হিসাব আলাদা। বেলা ২টার পর থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গাড়ির চাপ বেশি থাকে। একে আমরা চ্যালেঞ্জিং মনে করছি। মানুষ যেন যথাযথ সময়ে বাসায় যেতে পারে, সেজন্য ২টার আগে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আমরা সবাই মাঠে থাকব গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।