দুই সপ্তাহ স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সাপ্লাই কম থাকায় এবং ও চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার না মেলায় তেলের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
রোববার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর নিউ মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী হোসেন স্টোরের বিক্রয়কর্মী আরিফ অভিযোগ করে বলেন, ‘তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। কোম্পানিগুলো ঠিক মতো সাপ্লাই দিচ্ছে না। চাহিদা মতো অর্ডারের মালামাল না দিয়ে বলছে, দু-একদিন পর দিচ্ছি। বাজারে সাপ্লাই কম দেওয়ার পাশাপাশি দামও বেশি নিচ্ছে তারা।’
একই মার্কেটের অপর ব্যবসায়ী শারমীন স্টোরের আব্দুল জলিল বলেন, ‘গত ৩-৪ দিনে আবারও তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি লিটারে বেড়েছে ৫-৬ টাকা। তবে বোতলের তেলের চেয়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। রোজায় বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রচুর ইফতারি ভাজা হয়। আর এসব ভাজা হয় খোলা তেল দিয়ে। সে কারণে খোলা তেলের দাম বেশি বেড়েছে।’
ভোজ্যতেলের বাজারের অস্থিরতা কমাতে আমদানি-পাইকারি- খুচরোসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাট কমিয়েছে সরকার। এরপর নির্ধারণ করা হয়েছে তেলের নতুন দাম। তারপরও বাজারে বেশি দামে সব ধরণের ভোজ্যতেল বিক্রি করছে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা।
নিউ মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজিব সয়াবিন তেলের বাজারদর বিষয়ে বলেন, ‘খোলা এবং বোতলজাত সব ধরণের সয়াবিন তেলের দাম আবারও বাড়ছে। রোজার আগেও এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৫ টাকা। সেখান থেকে ৫ টাকা কমে ১৬০ টাকায় নেমেছিল। গত দুই তিন ধরে আবার দাম বেড়েছে। এখন আবার ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকায় বিক্রি করছি। দুই লিটার তেলের দাম ছিল ৩২৫ ছিল, এখন ৩৩২-৩৩৪ টাকা আর পাঁচ লিটার বিক্রি করেছিলাম ৭৬৫-৭৭০ টাকায়। এখন তা আবার ৭৮০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’
তেলের বাজারে খোঁজ নিয়ে এবং পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালো মানের খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬২-১৬৫ টাকায়। এই তেলই গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৫৭ টাকা কেজিতে