রাজধানীর শাহবাগ থেকে গুলিস্তান। রিকশায় যাতায়াত করা যেত না একসময়। সচিবালয়ের সামনে দিয়েও চলত না রিকশা। এখন চলছে ২৪ ঘণ্টাই। ঢাকায় একমাত্র রুট এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগ। যে রুটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রিকশা চলে না। নতুবা ঢাকার সব রুটেই রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছেই। এসব রিকশা যখন যানজটের কারণ তখনো নতুন করে দুই লাখ ১৫ হাজার রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
এর আগে ছিল ৮৫ হাজার। একইভাবে যদি উত্তর সিটিও সমপরিমাণ রিকশার অনুমোদন দেয় তাহলে যানজট বৃদ্ধি পাবে আরও কয়েকগুণ— বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া ঢাকায় অনুমোদিত বাণিজ্যিক সিএনজি অটোরিকশার সংখ্যা ১৫ হাজার। অথচ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ এবং ঢাকা জেলার নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট অটোরিকশাসহ আরও ২৫ হাজার চলে অতিরিক্ত।
এসব ছাড়া ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে প্রতিদিন ঢাকায় ঢুকছে আরও বেশ কিছু গাড়ি। এটাও যানজটের কারণ। এসব গাড়ির থামানোর যেমন উদ্যোগ নেই, নেই সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর বিকেন্দ্রীকরণ। উন্নয়ন মহাযজ্ঞ ছাড়াও আরও অসংখ্য কারণে দিনকে দিন চলাচল ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে রাজধানী ঢাকা। যদিও নিরসনে নেই আপাত কোনো সম্ভাবনা। আবার সিটির বর্তমান প্যাটার্নও সম্ভব নয়, যে কারণে চাইলেও এখন আর যানজট নিরসন সম্ভব নয়— বলছেন সংশ্লিষ্টরা। বিস্তারিত