রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, উত্তরার নর্থ টাওয়ার শপিং মল, আমির কমপ্লেক্স, রাজলক্ষী মার্কেট ও মহাখালী ডিওএইচএস এর একটি বাড়ী থেকে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৯ লাখ টাকা মূল্যমানের মোবাইল ফোনসেট জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। অবৈধ সেট বিক্রির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ জনকে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে এই ফোনগুলো আমদানি করা হয়েছিল।
শনিবার সকালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, র্যাব ও পুলিশের সমন্বিত তিনটিদল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব ফোন উদ্ধার করা হয়।
শপিং কমপ্লেক্সে তাদের আসার খবর পেয়ে বসুন্ধরার ৬ তলা এবং নিচতলার মোবাইলে ফোনের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করে ফেলেন দোকানিরা। এর মধ্যে ৩ টি দোকানে তারা ঢুকতে সমর্থ হন। এই দোকান ৩টি থেকেই শতাধিক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
অবৈধ সেট বিক্রির দায়ে মহাখালী ডিওএইচএস থেকে ৭ জন ও উত্তরা থেকে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানে জব্দকৃত ২৬২ টি সেটের মধ্যে আইফোন ১২১ টি, এইচটিসি ১২৫ টি, এলজি ১৫ ও আ্যপল ওয়ার্চ ১টি।
অভিযান শেষে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: সহিদুল ইসলাম জানান, এই সব আইফোন নিয়ম বহির্ভূতভাবে আনা হয়েছে, যার নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত নয়। অবৈধভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনার অভিযোগে এগুলো জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই অভিযান আসলে একটি মেসেজ। যে কোনো সময় আমরা আবার অভিযান চালাব।
শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মো: সহিদুল ইসলাম জানান, চোরাচালানের মাধ্যমে যারা মোবাইল ফোন নিয়ে আসছেন অথবা যারা নকল মোবাইল ফোন বাজারজাত করছেন তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের আওতায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ চক্র যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। যেহেতু নকল ও চোরাচালানের মধ্যমে আনীত মোবাইল ফোনের কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই এখন থেকে নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান চলবে।