নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে। বর্তমান বাজারদরে দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় সোয়া ২ হাজার কোটি টাকা।বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ করোনা থেকে উত্তরণের জন্য নেয়া যেকোনো খাতে ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ।
সোমবার এ বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে একটি ঋণচুক্তি সই করেছে সরকার। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ইআরডিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ পরিশোধে ৩০ বছর সময় পাবে বাংলাদেশ। এই ঋণের সুদের হার হবে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, সঙ্গে সার্ভিস চার্জ থাকবে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ড পাবে বাংলাদেশ। এ সময় ঋণের কোনো কিস্তি শোধ করতে হবে না। বাকি ২৫ বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে।
ইআরডি বলছে, করোনার বিরূপ প্রভাব থেকে কার্যকরভাবে উত্তরণে সরকার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, কৃষি খাত ও রপ্তানিমুখী শিল্পে প্রণোদনা দেয়াসহ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করেছে। বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তার এই ঋণ সরকার করোনার পুনরুদ্ধারে নেয়া কর্মসূচিতে ব্যয় করবে।
কোভিড-১৯-পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণ এবং উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে এই ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।