দীর্ঘ যানজটে সময় ও আর্থিক ক্ষতি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলেও শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত ক্ষতি কম নয়। দীর্ঘক্ষণ যানজটে পড়ে নাগরিকদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে ও উদ্বেগ বাড়ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুস ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও প্রজননতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজধানীতে যানজটের তীব্রতা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। মারাত্মকভাবে শব্দ ও বায়ুদূষণও হচ্ছে। এতে যাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। নিয়মিত যানজটের বিরক্তি থেকে মানুষের সংসার ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে ৫০ শতাংশ। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশ এবং স্নায়বিক ক্ষতির অন্যতম কারণও অতিরিক্ত যানজট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, যানজট রোধে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি চরমে পৌঁছবে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা যুগান্তরকে জানান, স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কারণে অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি কিনছেন। এ মুহূর্তে রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ৭৬ শতাংশের বেশি। অধিকাংশ সড়ক ব্যক্তিগত গাড়ি দখল করে থাকে। ঢাকায় যানজটে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এখানকার যানবাহনের চলার গতি বর্তমানে মানুষের হাঁটার গতির সমান বলে একটি গবেষণায় উঠে এসছে। অথচ এক দশক আগেও ঢাকায় যানবাহনের চলার গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। সেখান থেকে নামতে নামতে এখন ৬ দশমিক ৪ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।বিস্তারিত