সড়ক দুর্ঘটনা ও ঢাকার যানজটের কারণে প্রতি বছর ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এর মধ্যে শুধু সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বার্ষিক ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা জিডিপির ২ শতাংশ। শুধু ঢাকায় ট্রাফিক জ্যামের কারণে বার্ষিক ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়, যা জিডিপির ৩ শতাংশ। দুই মিলে বছরে মোট ক্ষতি ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার। গতকাল এআরআই পরিচালিত ষষ্ঠ ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ টেকনিকস ফর ট্রান্সপোর্টেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড রোড সেফটি’ শীর্ষক ট্রেনিং প্রোগ্রামের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু’স ভিশন ফর রোড সেফটি প্রমোশন : পলিসি ল্যাপস-গ্যাপস অ্যান্ড মুভিং টুয়ার্ডস ডিজাইনিং ইনটারভেনশন’ শীর্ষক প্রস্তাবনা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন এআরআইয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এআরআই পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে হলে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। আমি চাইব যেন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের ওপর যথাযথ গবেষণা করা হয়। গবেষণা ফল থেকে পাওয়া সুপারিশ প্রস্তাবনা আকারে যেন একনেকের টেবিলে আসে। সভাপতির বক্তব্যে সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গবেষণা না করে বরং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় নিয়ে গবেষণা করতে হবে। ড্রাইভারদের লাইসেন্স দেওয়ার পর তাদের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ১০০ নম্বরের মধ্যে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা আইন না মানলে- নেগেটিভ মার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই নম্বর ৪০ এর নিচে নামলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এভাবে পদক্ষেপ নেওয়া গেলে ড্রাইভাররা সচেতন হবেন। একই সঙ্গে ট্রাফিক সিস্টেমের উন্নয়ন করতে হবে। সর্বোপরি, গণমাধ্যম, বিলবোর্ড ইত্যাদি মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সড়ক আইন মানার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে সেরা তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ‘প্রপোজাল রাইটিং’-এ বিজন হালদার জয়, ‘কোশ্চেনেয়ার ডিজাইন’-এ মিজানুর রহমান এবং প্রেজেন্টেশন-রত্না খাতুন