সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া পরিদপ্তরকে কুঁড়ে খাচ্ছে দুর্নীতির বড় ইঁদুর। কেনাকাটা থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের শিকড় অনেক গভীরে। অভিযোগ উঠেছে, ভুয়া ঠিকানা ও জাল কাগজপত্র দিয়ে সম্প্রতি পরিদপ্তরের ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা করে ঘুষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব দুর্নীতির পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করেছেন পরিদপ্তরের পরিচালকের একান্ত সহকারী বখতিয়ার খলজি। নিয়োগ ছাড়াও বখতিয়ারের বিরুদ্ধে নির্ধারিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টের খরচ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও প্রমাণ রয়েছে। যার অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন যে, মন্ত্রণালয় ও তার আওতাধীন কোনো সংস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন বছরে মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতি মুক্ত হয়নি। এমনকি অনিয়ম দুর্নীতির কারণে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়াও হয়নি। ফলে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থায় চলছে ঠান্ডা মাথায় অনিয়ম ও দুর্নীতি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিদপ্তর মূলত দেশের তৃনমুল পর্যায়ে খেলাধুলার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিদপ্তর। কিন্তু এই ক্রীড়া পরিদপ্তরের জিম্মিদশা নিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ চিত্র। ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালকের একান্ত সহকারীর একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও দেশের ক্রীড়া পরিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ করছেন। যার পেছনে (অপ্রকাশ্যে) রয়েছেন পরিচালকসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তা। বিস্তারিত