বছরে ৩২শ’কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ১০৯ কোচিং সেন্টার। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে এসব ‘কোচিং’। বিদ্যমান বিধি-বিধানকে তোয়াক্কা না করে অনেকটা প্রশাসনের নাকের ডগায়ই কার্যক্রম চালাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। চটকদার বিজ্ঞাপনে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে শুধু বিক্রিই নয়-একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়া পরীক্ষার্থী সরবরাহসহ শিক্ষাকেন্দ্রীক নানা অপরাধমূলক তৎপরতাও চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ বছর আগে কোচিং সেন্টারগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাক-ঢোল পেটানো সেই অনুসন্ধান নিয়ে একজন পরিচালকসহ অন্তত ২০ জন দুদক কর্মকর্তাকে ব্যতিব্যস্ত রাখা হয় কয়েক বছর। এ সময়ের মধ্যে ঢাকার অন্তত ৩০টি কোচিং সেন্টারের রেকর্ডপত্র হস্তগত করে সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট অন্তত: ২শ’ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের তৎকালীন পরিচালক নাসিম আনোয়ারের তত্ত্বাবধানে পৃথক ৩টি টিম এ অনুসন্ধান চালায়।
তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমান উপ-পরিচালক) মোহাম্মদ ওয়াদুদ, উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম এবং উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এসব টিমের নেতৃত্ব দেন। সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী, উপ-সহকারী পরিচালক মেফতাহুল জান্নাত, রাফী মো. নাজমুস সা’দাত, আতাউর রহমান সরকার, মো. রেজাউল করিম, আ ক ম শাহ আলম, খন্দকার নিলুফা জাহান, তৎকালীন সহকারী পরিচালক নূর ই আলম, উপ-সহকারী পরিচালক একরামুর রেজা এবং মানসী বিশ^াস এ টিমে যুক্ত ছিলেন। অনুসন্ধান প্রতিবেদনে টিমগুলো জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করেছিলেন বলে জানা যায়। তৎকালীন কমিশনের চাপে এই অনুসন্ধান নিয়ে কর্মকর্তারা ছিলেন গলদঘর্ম। কিন্তু এই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।বিস্তারিত