রংপুরের দুই তেল ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ৫১ হাজার ২০৪ লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর সেনপাড়া এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে এ তেল জব্দ করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন ও আরিফ মিয়া। রংপুর মহানগর পুলিশ অভিযানে অভিযানে সহযোগিতা করেন।
অভিযানে জে.পাল এ্যান্ড কোম্পানি ও এসএস ট্রেডার্সের গোডাউনে মজুত করা ১৩ হাজার ৮৭২ লিটার সয়াবিন এবং ৩৭ হাজার ৩৩২ লিটার পাম তেল জব্দ হয়। এ সময় সরকার নির্ধারিত পাইকারি মূল্যের চেয়ে লিটারে ৩ টাকা বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করায় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে তেলের বোতলে উল্লেখিত দামে তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া খোলা বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করাসহ বেশি দামে তেল বিক্রি না করতে গুদাম মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে।
আফসানা পারভীন বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে খোলা বাজারের মতো পাইকারি বাজারেও ভোজ্যতেলের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পারি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা দুটি গুদামে অভিযান পরিচালনা করেছি। সেখানে পাইকারিতে লিটার প্রতি ৩ টাকা বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ অপরাধে জে.পাল এ্যান্ড কোম্পানি এবং এস.এস ট্রেডার্সের ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান দুটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা তেলের সঠিক মূল্য রসিদ দেখাতে পারেনি। সরকারিভাবে খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা লিটার বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হলেও জে.পাল কোম্পানির মালিক বিশ্বজিৎ পাল পাইকারিতে লিটার প্রতি ৩ টাকা বেশিতে বিক্রি করেছেন। একই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এস.এস ট্রেডার্সে। ‘
আফসানা পারভীন বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ যদি বেশি নেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। যে অনিয়ম করবে তাকে অর্থদণ্ডসহ শাস্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট করে কেউ যদি দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে মামলা করব।’