নানান সংকটে আছে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সিকিভাগ শিক্ষার্থীও পাচ্ছে না এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। অনুমোদন নিয়ে চালু করতে পারছে না অন্তত ৪টি। মামলাজটে আরও ৪টি বন্ধের পথে।
অনিয়মে আরও কয়েকটির দশা করুণ। এছাড়া আর্থিক দৈন্যে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া আছে।
কয়েকটি দিচ্ছে আংশিক বেতন। করোনাকালে তহবিল সংকটে পড়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ভবন ছেড়ে দিয়ে কোনো রকমে টিকে আছে। এমনকি কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
উপাচার্যসহ শীর্ষ কর্মকর্তা পদে নানা কারণে নিয়োগ দিচ্ছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। এরপরও নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেতে দৌড়ঝাঁপ চলছে।
এই মুহূর্তে অন্তত ১১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন জমা আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। পাঁচটির প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজে হাত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ১৯ মে এমনই একটি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করে এসেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ইউজিসিসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিনই নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া জানতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আর আবেদন জমা দেওয়া ব্যক্তি ও গ্রুপের মধ্যে অন্তত অর্ধশতাধিক জোর তদবিরে ব্যস্ত। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ভালো চলছে না, সেখানে নতুন প্রতিষ্ঠান কী করে চলবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।বিস্তারিত