নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল। তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ আইনের অপপ্রয়োগ রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনটি ব্যবহার করে অনেক অহেতুক মামলা করা হয়েছে। যার ফলে ২০১৯ সালে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ আইনে মামলা হলে এখন সঙ্গে সঙ্গে যেন কাউকে গ্রেফতার করা না হয়, সে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। এখন আর যত্রতত্র গ্রেফতার হচ্ছে না। এরপরেও প্রয়োজন হলে আইনটি সংশোধন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিকতায় বাধা সৃষ্টির জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়নি। এখন তো প্রযুক্তির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এতে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে সেগুলো মোকাবেলা করার জন্যই এ আইন করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে গুজব বন্ধে বিশ্বের সব দেশই কোনো না কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদেরও ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্যই আইনটি করা হয়েছে। আমরা সাধারণ জনগণের সেবা করতে এসেছি। কোনো ভুলত্রুটি হলে সেটাও শুনতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। একটি হলো বাক-স্বাধীনতা, অন্যটি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, বাংলাদেশে এমন কোনো আইন হবে না, যেটা স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এ সময় বিএসআরএফের সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহজাহান মোল্লা, ইসমাইল হোসাইন রাসেল, শাহাদাত হোসেন রাকিব, হাসিফ মাহমুদ শাহ,মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।