নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকার ডিজিটাল কনটেন্ট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পাদক পরিষদ বলেছে, সংবাদপত্রের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল কনটেন্ট প্রচারের বিষয়ে নতুন করে বিতর্কের সুযোগ নেই।
গতকাল শনিবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদপত্রের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে টকশো ও ভিডিও কনটেন্ট প্রচার করলে সেটি ডিক্লারেশনের বরখেলাপ হয় বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমের কাছে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সম্পাদক পরিষদ মনে করে, বর্তমানে প্রিন্ট আর ডিজিটাল
সমন্বয়ের মাধ্যমেই সংবাদপত্রের অগ্রযাত্রা নিহিত রয়েছে। কারণ সারাবিশ্বে ডিজিটাল বিপ্লবের প্রভাব সংবাদপত্রশিল্পকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে পত্রিকার জন্য জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭ (সংশোধিত-২০২০)-এর অধীনে ‘অনলাইন নিউজপোর্টালের জন্য নিবন্ধন’ প্রক্রিয়া চালু করেছে। এরই মধ্যে দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণসহ শতাধিক অনলাইন নিউজপোর্টালের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এতে আরও বলা হয়, কোভিডের অভিঘাত যে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে, প্রিন্ট মিডিয়াকে তা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রিন্ট মিডিয়া প্রাসঙ্গিক হলেও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উত্থানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। এখন পাঠককে শুধু সংবাদপত্র বা ই-পেপার দিয়ে সন্তুষ্ট করা যায় না; বরং অডিও-ভিডিও ফরম্যাটে নতুন কনটেন্ট, সংবাদ, সাক্ষাৎকার, ফিচার, সংবাদের বিশ্লেষণভিত্তিক আলোচনা দিতে হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের। প্রিন্ট মিডিয়া পাঠকের শেষ আস্থা হলেও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিকাশের বর্তমান সময়ে প্রিন্ট মিডিয়ার ওয়েব পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়াকেও সমানতালে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রাসঙ্গিক সংবাদের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, গবেষণা ও মতামতসংবলিত ডিজিটাল কনটেন্ট অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠকের কাছে গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করাও দৈনিক পত্রিকার অনুষঙ্গ। তাই সম্পাদক পরিষদ মনে করে, সংবাদপত্রের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল কনটেন্ট প্রচারের বিষয়ে নতুন করে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।