যাচাই-বাছাই ছাড়াই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বেসরকারি খাতের আইএফআইসি ব্যাংক। কোনো ধরনের নিয়ম-কানুন না মেনে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় এ ঋণ ছাড় করেছে ব্যাংকটি। সময়ের আলোর অনুসন্ধানে ঋণ প্রদান করা প্রতিষ্ঠান তিনটির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি ঋণ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনে ছিল না কোনো চেয়ারম্যান বা পরিচালকদের নাম। এমন প্রতিষ্ঠানকে এত টাকা ঋণ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়ে।
হাউজিং ও রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে টার্ম লোন হিসেবে ৯৪৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা ঋণ দেয় আইএফআইসি ব্যাংক। এসব ঋণের বিপরীতে কোনো আদায় না থাকায় দায়সহ মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান ও প্রিন্সিপাল শাখার ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শ্রেণিকৃত ঋণ (সিএল) বিবরণীর তথ্যমতে, রাজ হাউজিং লিমিটেড, সৃষ্টি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এবং কুইক রিয়েল এস্টেট- এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৫ বছরমেয়াদি মোট ৬টি টার্ম লোন হিসাব সৃষ্টি করে ৯৪৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এসব কোম্পানির অস্তিত্ব আছে কি না, জানতে চাওয়া হয় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব নেতাদের কাছে।
একাধিক রিহ্যাব নেতা এসব প্রতিষ্ঠানের নামও জানেন না বলে সময়ের আলোকে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিহাবের এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যতগুলো হাউজিং ব্যবসার প্রতিষ্ঠান আছে তার সঠিক কোনো হিসাব আমার কাছে নেই। আপনার বলা নামগুলো আমাদের সংগঠনের সদস্যও নয়। সব কোম্পানিই যে সদস্য হবে তেমনও নয়। সংগঠনের বাইরেও অনেক কোম্পানি আছে। আপনার প্রশ্ন পাওয়ার পর আমি খুঁজে দেখেছি, এসব কোম্পানির নাম আছে কি না আমাদের লিস্টে। আমি পাইনি। এসব কোম্পানিই দেশে ফ্ল্যাট-প্লটের ব্যবসার নামে অন্যায় ও দুর্নীতি করে। এদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত।’বিস্তারিত