সম্প্রতি অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) থেকে ডিআইজি পদে পদোন্নতি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, যারা তদবির করতে পেরেছেন, তারাই পদোন্নতি পেয়েছেন। আবার রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে যোগ্যতা থাকার পরও কেউ কেউ পদোন্নতি পাননি।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পুলিশ ক্যাডারের সপ্তম ব্যাচ থেকে ২৭তম ব্যাচ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শতাধিক কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মেধা অনুসারে পুলিশে পদোন্নতি হচ্ছে না। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের ঘটনাও রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ৪৬ জন পুলিশ সুপারকে (এসপি) অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর আগে অতিরিক্ত ডিআইজি থেকে ডিআইজি হয়েছেন ৩২ জন।
পুলিশ সূত্র জানায়, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পর্যন্ত পদোন্নতি হয় বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি) মাধ্যমে। ডিপিসির প্রধান হন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব। ডিআইজি থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পর্যন্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হয় সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) মাধ্যমে। পদাধিকার বলে এসএসবির প্রধান থাকেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আর নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের (কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর) পদোন্নতি হয় পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে। পদাধিকার বলে প্রধান থাকেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, সবাই পদোন্নতি পাবেন না। নিচের ধাপের তুলনায় ওপরের ধাপে পদের সংখ্যা কম। তিনি বলেন, ‘পুলিশে যাদের যোগ্যতা আছে, তারাই পদোন্নতি পাচ্ছেন। পদোন্নতি দেওয়ার আগে সবার আমলনামা যাচাই-বাছাই করা হয়। কোনো তদবিরে কাজ হয় না। যারা পাচ্ছেন না, তাদের নিশ্চয় আমলনামা ভালো না। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে যে তালিকা আসে তা গভীরে গিয়ে দেখি আমরা। কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা হয় না।’বিস্তারিত