আজ ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’। সপ্তাহব্যাপী ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রম আগামী ২১ জুন শেষ হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যূরো (বিবিএস) ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে জনশুমারি ও গৃহগণনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল নাগরিকের দায়িত্ব। সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ সফল ও সার্থক হওয়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন,জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত জনশুমারি ও গৃহগণনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশে পরিচালিত সবচেয়ে গুাংত্বপূর্ণ জাতীয় পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম।
বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করার মাধ্যমে মানুষের সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধনই মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি আশা করেন ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ হতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত জাতীয় সম্পদের সুষম বণ্টন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়নসহ অন্যান্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পরিবীক্ষণে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে। তাই শুমারিকর্মীগণকে সঠিক তথ্যপ্রদান ও তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সকল প্রকার সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী ।
শুমারি শুরুর আগে আজ (১৪ জুন ) রাত ১২টা’কে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে ধার্য করা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হতে যাচ্ছে।একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারাদেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার এবং বিবিএস’র সাড়ে ৪ হাজারের অধিক কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। এছাড়াও বিবিএস বহির্ভূত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৯০০ জন কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন।
শুমারিতে সঠিক তথ্য প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক গান, নাটিকা, ডকুড্রামা, শুমারি কাউন্ট ডাউন, ডকুমেন্টারি দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে জনশুমারি প্রচার, প্রচার সামগ্রী বিতরণ, ডকুমেন্টারি প্রচারসহ শুমারি চলাকালে মাইকিং করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দশ বছর পর-পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।