ইউক্রেনের সীমান্তে অবস্থিত রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তেল শোধনাগারটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরার।
রোস্তভ অঞ্চলের নভোশাখতিনস্ক তেল শোধনাগারের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথম ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ক্রুড ডিস্টিল্যাশন ইউনিটে। এতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন ধরে যায়। আর দ্বিতীয় হামলা হয়েছে ৯টা ২৩ মিনিটে। এবার হামলা হয় অপরিশোধিত তেল যেখানে রাখা হয় সেখানে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, তবে পরের হামলায় রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তেলজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী এ শোধনাগারে আগুন ধরেনি। এতে কেউ আহতও হয়নি।
ইউক্রেনের সীমান্তে অবস্থিত রাশিয়ার এ অঞ্চল এর আগেও হামলার শিকার হয়েছে। এ তেল শোধনাগারটি অবস্থিত সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল) দূরে।
কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, রোস্তভ অঞ্চলের পশ্চিম সীমান্ত থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলস্বরূপ, দুটি ড্রোন নভোশাখতিনস্কের প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলোতে আঘাত করেছে। সেখান থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের জন্য প্রযুক্তিগত সরঞ্জামগুলো কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রোস্তভের গভর্নর ভ্যাসিলি গোলুবেভ বলেন, ওই তেল শোধনাগারের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে দুটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
২০০৯ সালে ওই শোধনাগার কার্যক্রম শুরু করে। তেল পরিশোধনে এর বার্ষিক সক্ষমতা ৭৫ লাখ টন।