পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে দক্ষিণাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম নদীবন্দর সদরঘাটে। লঞ্চগুলো যাত্রীবোঝাই করে ছেড়ে যেতে দেখা গেলেও ছাদে বা নিষিদ্ধ স্থানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেখা যায়নি।
বুধবার সদরঘাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর সদরঘাটে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। সরকারি অফিস ও কলকারখানা ছুটির আগেই যাত্রীরা ছুটছেন গন্তব্যে। কেউবা স্ত্রী সন্তানকে তুলে দিতে এসেছেন, আর তারা ছুটি হলে বাড়ি ফিরে যাবেন। তবে ভিড় এড়িয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা করতে পেরে বেশ খুশি। ইতোমধ্যে সব রুটের কেবিনগুলো অগ্রিম বুক হয়ে গেছে। নতুন করে কোনো কেবিন টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
বরিশালগামী যাত্রী হাবীব যুগান্তরকে বলেন, বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় সদরঘাটে বেশ ভিড় হবে ভেবেছিলাম। এখানে এসে উল্টো চিত্র দেখে ভালো লাগছে। আশা করছি, কোনো ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই বাড়ি পৌঁছাতে পারব।
এদিকে ঈদে যাত্রী পরিবহণ নির্বিঘ্ন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন, প্রত্যেক বাহিনীর আলাদা কন্ট্রোল রুম স্থাপন, যাত্রীদের নিরাপদে লঞ্চে আরোহনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ সার্বক্ষণিক মাইকিং করে নির্দিষ্ট লঞ্চের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নদীবন্দরে পর্যাপ্ত বিশ্রামাঘার, পাবলিক টয়লেট ও পার্কিং সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শহীদ উল্লাহ বলেন, যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। আইন লঙ্ঘনকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।