অর্থনৈতিক রিপোর্টার
চলতি জুলাই থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হযেছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এরমধ্যে পণ্য রফতানির লক্ষ্য হচ্ছে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। আর সেবা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হযেছে ৯০০ কোটি ডলার।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বুধবার (২০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের রফতানির আয়ের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।
চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে তৈরি পোশাক থেকেই আয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
বাণিজ্য মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য পণ্য ও সেবা রফতানি থেকে ৬৭ (৬ হাজার ৭০০ কোটি) বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সার্বিক রফতানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘পণ্য রফতানি খাতে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি ধরে নতুন আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৫৮ বিলিয়ন ডলার, যেখানে শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকেই ৪৬ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে। আর সেবা খাতে ৯ বিলিয়ন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।’
রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, রফতানির নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় এনেছে। সেগুলো হলো সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতি ও গত ২০২১-২২ অর্থবছরের রফতানি প্রবৃদ্ধির অর্জনের গতিধারা, পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে সরকার প্রদত্ত আর্থিক সুবিধা, বিশ্ব বাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, দেশে করোনার প্রভাব, রফতানি সম্ভাবনাময় পণ্য ও সেবা খাতের বিকাশ, রফতানি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পরামর্শ এবং চলতি অর্থবছরের বাজেটে করোনা মোকাবিলায় সরকারের নেয়া নানামুখী উদ্যোগ।
এসব বিবেচনায় রেখে সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দেশে সর্বোচ্চ রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রী।
২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সার্বিক রফতানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর বিপরীতে বছর শেষে ১৭.৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রফতানির লক্ষ্য অর্জন হয় ৬০ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে বছর শেষে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে পণ্য রফতানি খাতে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার অর্জন হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯.৭৩ শতাংশ বেশি।
সেবা খাতে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।