নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর ও দুয়ারীপাড়া এলাকা। সরকারদলীয় এক অঙ্গসংগঠনের নেতার ১ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে এই এলাকায়। সরকারি খালের পাশে গ্যারেজ করে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে প্রতিদিন চার্জ করা হচ্ছে এসব রিকশা। শুধু রূপনগর ও দুয়ারীপাড়ায় নয়, বৃহত্তর মিরপুর এলাকার অলি-গলিতে এভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা। শুধু মেইন রোডে চলবে না এমন চুক্তিতেই এগুলো দেখেও দেখছে না ট্রাফিক পুলিশ। মিরপুর ছাড়াও উত্তরা, ধানমন্ডি, খিলক্ষেত, মুগদা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, আদাবর, চটবাড়ি বেড়িবাঁধ, কামরাঙ্গীরচর ও ডেমরায় এসবের চলাচল বেশি দেখা যায়। যাত্রাবাড়ী, গোড়ান, খিলক্ষেত, মান্ডা, সায়েদাবাদ, সবুজবাগ, খিলগাঁও, চিটাগাং রোড, শনির আখড়ায় রাস্তার পাশেই কয়েক হাজার গ্যারেজ থেকে অবৈধ বৈদ্যুতিক লাইন থেকে এসব ইলেকট্রিক রিকশার ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ্যেই। শুধু রাজধানী ও এর আশপাশেই এ ধরনের ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইকের সংখ্যা কমপক্ষে ৩ লাখ। অবশ্য ঢাকায় কিছুটা আড়ালে-আবডালে চললেও সারা দেশে জেলা, উপজেলা ও গ্রামগঞ্জে এখন প্রধান বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ইলেকট্রিক রিকশা ও ইজিবাইক।
বাংলাদেশ ইজিবাইক আমদানি ও সরবরাহকারী ব্যবসায়ী সমিতির দেওয়া তথ্যানুযায়ী বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে এখন প্রায় ১৫ লাখের বেশি ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে। এসব যানবাহন চার্জ দিতে দৈনিক প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। সাধারণত একটি ইজিবাইকের জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৮০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে ৫ থেকে ৬ ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭ টাকা ধরে ১০ লাখ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
অটোরিকশার চার্জে ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ : রাজশাহী মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান ইজিবাইক চলে। এ ছাড়া প্রতিদিনই ৮-১০টি নতুন রিকশা-ভ্যান রাস্তায় নামছে। এসব ইজিবাইক ও রিকশা-ভ্যানের ব্যাটারি চার্জ এবং রাখার জন্য ৩ শতাধিক গ্যারেজ গড়ে উঠেছে। গ্যারেজে চার্জসহ একটি রিকশা রাখতে ১৩০ টাকা ও চার্জসহ একটি ইজিবাইক রাখতে ১৯০ টাকা দিতে হয়।
সাধারণত একটি ইজিবাইকের জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে ৫ থেকে ৬ ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসাবে জেলার প্রায় ৩০ হাজার ইজিবাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন অন্তত ৩৩ মেগাওয়াট এবং মাসে ৯৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।
রংপুরে আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ : রংপুরের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রতিদিন আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। চলমান লোডশেডিংয়ে অটোরিকশা চার্জ অনেকটা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে ৮ হাজার। এর মধ্যে অটোরিকশার ৫ হাজার এবং রিকশার ৩ হাজার। কিন্তু নগরীতে অটোরিকশা ও রিকশা চলছে ৩০ হাজারের বেশি। অবৈধ অটোরিকশা এবং অবৈধ চার্জে বিদ্যুতের ভোগান্তি বাড়ছে। রংপুরের অটোরিকশাগুলো চার্জ দিতে দিনে ২৪ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। সেই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অটোরিকশা চার্জ দিতে চলে যাচ্ছে। প্রতি মাসে ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেছনে।
ঘাটতি বিদ্যুতের অর্ধেকই যায় ইজিবাইকে : খুলনা সিটি করপোরেশন প্রায় ৮ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দিলেও বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে এ সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। প্রতি%A