বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলা করতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করেছে ১৯ জুলাই থেকে।
নির্দেশ মোতাবেক রোববার (৩১ জুলাই) লোডশেডিংয়ের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডও (ডেসকো)। একইসঙ্গে তালিকা দিতে শুরু করেছে ওজোপাডিকো এবং নেসকো।
মহামারির মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেয়ায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ অবস্থা মোকাবিলায় বিদ্যুতের উৎপাদনের সঙ্গে চাহিদার সমন্বয় করতে মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকা এবং সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
ডেসকোর তালিকা দেখতে ক্লিক করুন।
ডিপিডিসির তালিকা দেখতে ক্লিক করুন।
ওজোপাডিকোর তালিকা দেখতে ক্লিক করুন।
নেসকোর ডিপিডিসির তালিকা দেখতে ক্লিক করুন।
দেশে সোমবার থেকেই স্থগিত করা হয়েছে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ ছাড়া এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প। এমন বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি অফিসের সময়সূচি দুই ঘণ্টা কমানোর চিন্তা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনকে কমিয়ে যাতে আমাদের খরচ কম হয়, যেটা সহনশীল হয় সেই পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং ডিজেলে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত স্থগিত করলাম।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্রাহকদের আগে থেকে লোডশেডিং এর সময়সূচি জানানো হবে। যানবাহনে যাতে তেল কম ব্যবহার হয় সে পদক্ষেপও নেয়া হবে’।
এদিকে, জ্বালানি সঙ্কটের এই সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা দেখলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২০ জুলাই) লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাহকদেরকে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করতে বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।