রাশিয়া, চীন ও ভারতের কাছ থেকে নেওয়া কঠিন শর্তের ঋণগুলোই বেশি ভোগাবে। এ তিন দেশের কাছ থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণচুক্তি হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে সুদ, আসলসহ এ বিপুল অঙ্কের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। দায় বেড়ে যাওয়ায় আগামী তিন বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
সাধারণত বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপানসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ঋণ নিলে ৩০ থেকে ৪০ বছরে পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু সুদের হার প্রায় কাছাকাছি হলেও চীন, রাশিয়া ও ভারত—এ তিন দেশের ঋণ পরিশোধ করতে হবে এর অর্ধেক সময়ে। এ তিন দেশের ঋণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল, শাহজালাল সার কারখানা, দাশেরকান্দি পয়োবর্জ্য শোধনাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে বেশির ভাগ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের আসল, সুদসহ ২০১ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে ইআরডি।বিস্তারিত